বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মেডিকেল কলেজ। পাহাড় আর সবুজে ঘেরা চমৎকার পরিবেশে স্থাপিত দেশসেরা অন্যতম এই মেডিকেল কলেজটি চিকিৎসাবিদ্যার পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্যও খ্যাত।
নাম : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ/Chittagong Medical College.
সংক্ষিপ্ত নাম : চমেক/CMC
নীতিবাক্য: “শিখতে আসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও”
অবস্থান: কে. বি. ফজলুল কাদের রোড, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম।
উদ্বোধন: ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ।
প্রাতিষ্ঠানিক_অধিভুক্তি: ১। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্তমান অধ্যক্ষ: অধ্যাপক সাহেনা আক্তার।
বর্তমান_পরিচালক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।
হাসপাতাল_বেড_সংখ্যা: ২২০০ টি
বিভাগ: 58টি
বৃহত্তর ট্টগ্রামের আপামর জনসাধারনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১৯০১ সালে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। ১৯২৭ সাল থেকে এই হাসপাতালে চট্টগ্রাম মেডিকেল স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়, যাতে চার বছর মেয়াদী এলএমএফ ডিগ্রী প্রদান করা হতো। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ৬ আগষ্ট ১৯৫৭ তারিখ উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৎকালিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জহির উদ্দিন এবং প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক ও মুনওয়ার আহমেদ প্রমুখ। পরবতীতে ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ খ্রি. মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী ও ৩টি বিভাগ (এনাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি) নিয়ে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই চট্টগ্রাম মেডিকেল হিসেবে সেবা প্রদান করা হতো। ১৯৬০ সালে এটি বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয় এবং তখন এতে শুধুমাত্র মেডিসিন, সার্জারি এবং প্রসূতিবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ ছিল। ১৯৬৯ সালে বর্তমান হাসপাতাল ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে এটি বর্তমানের সাততলা ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
১৯৬০ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই হাসপাতালটি সময়ের বিবর্তনে ১৩১৩ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এম.আর.আই, সিটি স্ক্যানসহ ক্রমান্বয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আই.সি.ইউ), করোনারী কেয়ার ইউনিট (সি.সি.ইউ), নিউনেটালজিী, আই.সি.ইউ, এন্ডোস্কপি ইউনিট, রেডিওথেরাপী, কিডনি ডায়ালাইজিং ইউনিটসহ নতুন চিকিৎসা সুবিধাসমূহ যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি ঘরোয়া সহিংসতা, নির্যাতন ও নিপীড়ন মোকাবেলার জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ২৫ শয্যাবিশিষ্ট বার্ন ইউনিট রয়েছে। ২০১২ সালে কার্ডিয়াক সার্জারী ইউনিট সংযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি করোনা পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত হয়েছে “করোনা পরীক্ষণ ল্যাব"।
ডেন্টাল ইউনিট:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী (বিডিএস) ১৯৯০ সালে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসক হিসেবে স্নাতক পাশ করেছে। যারা দেশ-বিদেশের নানা স্থানে মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। ডেন্টালের এসব শিক্ষার্থী দাঁত ও মুখ গহবরের রোগ চিকিৎসায় গত ৩০ বছর ধরে অবদান রাখছে।
বর্তমানে এখানে ৫ বছর মেয়াদি অধ্যয়ন ও ১ বছর শিক্ষানবিশের ভিত্তিতে এমবিবিএস ও বিডিএস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। প্রতিবছর ২২০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ও ৬০ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি এখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, শ্রীলকা,পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এছাড়াও এখানে বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০টি বিষয়ে এম.ডি/এম.এস/এমফিল/ডিপ্লোমা/এমপিএইচ শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনে বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৪টি লেকচার গ্যালারি (সালাম লেকচার গ্যালারি, বরকত লেকচার গ্যালারি, সুতপা লেকচার গ্যালারি, জব্বার লেকচার গ্যালারি, রফিক লেকচার গ্যালারী) , ৩০ টি টিউটেরিয়াল রুম, ২ টি ব্যবচ্ছেদ রুম, ৭টি ল্যাবরেটরি, ১টি ফরেনসিক মর্গ রয়েছে এবং হাসপাতাল ভবনে ৩৭ টি ওয়ার্ড আছে। ১০ তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মেইন বয়েজ হোস্টেল, লুৎফুস সালাম ছাত্রাবাস, হাফিজুল্লা বসির ছাত্রাবাস এবং ছাত্রীদের জন্য কান্তা ছাত্রী নিবাস ও ডাঃ দিলরুবা ছাত্রীনিবাস। এছাড়াও ইন্টার্ণ ডাক্তারদের জন্য রয়েছে ডাঃ মিজান ছাত্রাবাস ও ডাঃ জান্নাত ইন্টার্ণ ছাত্রী নিবাস।
মিলনায়তন:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অন্যতম আকর্ষণ শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কৃতীশিক্ষার্থী ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম শাহ আলমের নামে এই মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে। এক হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক এই মিলনায়তনে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সাজঘর, লাইটিং এবং সাউন্ড সিস্টেম।
স্টুডেন্ট ওয়ার্ড:
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২০ শয্যা বিশিষ্ট “মিশকাতুর রহমান ফাহিম স্মৃতি স্টুডেন্ট ওয়ার্ড"।
মুক্তমঞ্চ:
“ডাঃ মিলন মুক্তমঞ্চ" শিক্ষার্থীদের মুক্ত চিন্তা, স্বাধীনতা ও আলোচনার অন্যতম একটি ক্ষেত্র। ক্লাসের বিরতিতে সময় কাটানো কিংবা অবসর সময়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠার জন্য মুক্তমঞ্চ শিক্ষার্থীদের প্রধান পছন্দ। সুউচ্চ একটি লাইট টাওয়ার নীরব প্রহরীর মত মুক্তমঞ্চকে আলোকিত করে রাখে সারা রাত ধরে । ২০১৮ সালে সংস্কারের মাধ্যমে মুক্তমঞ্চের নান্দনিক আলোকসজ্জা ও অনন্য স্থাপত্যশৈলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সৌন্দর্যে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
অন্যান্য:
কেন্দ্রীয় মসজিদ, খেলার মাঠ, সিএমসি ক্যাফে, জাগ্রত রেসকোর্স, শহীদ মিনার এবং নিউক্লিয়ার সাইন্স ইন্সটিটিউট চমেক ক্যাম্পাসের অন্যতম সংযোজন।
প্রধান লাইব্রেরি:
নতুন একাডেমিক ভবনের ২য় তলায় অবস্থিত শীতাতপনিয়ন্ত্রিত “শিমু লাইব্রেরি"তে বিভিন্ন একাডেমিক বইয়ের সংকলন রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে রিডিং রুম সুবিধাও।
বোন্স লাইব্রেরি:
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নির্মিত হয়েছে বিশ্বের ১ম বোন্স লাইব্রেরি যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বোন্স সংগ্রহ করে পড়তে পারে। এনাটমির স্বনামধন্য প্রফেসর ডাঃ মনসুর খলিলের নামানুসারে এই লাইব্রেরির নামকরণ করা হয়েছে “ডাঃ মনসুর খলিল বোন্স লাইব্রেরি "।
সাহিত্য লাইব্রেরি :
মেডিকেলের পড়াশোনার পাশাপাশি মুক্তচিন্তা ও সাহিত্য চর্চার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে সাহিত্য লাইব্রেরি। বিভিন্ন লেখকের বইয়ের সংকলন রয়েছে এই লাইব্রেরিতে।
স্বাধীনতা গ্যালারি
মুক্তিযুদ্ধের কিছু দুর্লভ ছবি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই গ্যালারি।
শিক্ষক সমিতি :
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সার্থোন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা, সেবার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারন। শিক্ষকদের সামগ্রীক অধিকার, শিক্ষাগত স্বাধীনতা, কলেজের পবিত্রতা ও মর্যাদা সংরক্ষন। সর্বপরি শিক্ষকদের সার্বিক কল্যান সাধনের উদ্দ্যেশে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি।
চমেকসু:
শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনাকারী সংগঠন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (চমেকসু)।
সন্ধানীঃ
আর্তমানবতার সেবার ব্রত নিয়ে সন্ধানীর পথচলা। তারই ধারাবাহিকতায় সন্ধানী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে নিরন্তর। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো -
দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, টিকাদান কর্মসূচি, মরণোত্তর চক্ষুদান, কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্ট, থ্যালাসেমিয়া প্রকল্প, নিয়মিত রক্তদানকারীদের সম্মাননা প্রদান, শীতার্তদের জন্য বস্ত্র সংগ্রহ ইত্যাদি।
ডিবেটিং ক্লাবঃ
শিক্ষার্থীদের চিন্তা, মনন ও জ্ঞানের প্রসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ডিবেটিং ক্লাব।
রিসার্চ ক্লাবঃ
পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কাজ ও গবেষণার বিস্তৃতির জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে রিসার্চ ক্লাব।
“কালচারাল মেডিকেল কলেজ " হিসেবে খ্যাত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপিত হয় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে।
পাশাপাশি পড়াশোনার একঘেয়েমিতা থেকে মুক্তি পেতে আয়োজন করা হয়-
ব্যাচ ডে
সিএমসি ডে
ইয়ার এন্ডিং প্রোগ্রাম
বাণী অর্চনা
পিঠা উৎসব
বসন্তবরণ উৎসব
চলচ্চিত্র উৎসব
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো
পহেলা বৈশাখ উদযাপন
নিউ ইয়ার প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
অন্তঃক্রীড়া প্রতিযোগিতা
ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
ফুটবল টুর্নামেন্ট
ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট
“তুমিই ডাক্তার, তুমিই লেখক” প্রতিযোগীতা
সহ আরো বিভিন্ন প্রতিযোগিতা।
প্রতিটি প্রোগ্রামে চমেক ক্যাম্পাস সেজে ওঠে বর্ণীল সাজে । শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও কলকাকলিতে ক্যাম্পাস মুখরিত থাকে সারা বছর ধরে।
পাশাপাশি মেডিকেলের পড়ার চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে ও মনকে প্রফুল্ল করতে আয়োজন করা হয় বার্ষিক ট্যুর।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চমেকের কৃতি শিক্ষার্থী
আবু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী (৯ম প্রজন্ম)
মোঃ জাকির হোসেন খান (১২ তম প্রজন্ম)
কাজী সাদিক হাসান ( ১৪তম প্রজন্ম)
লেফটেন্যান্ট ডাঃ কে বি এম এনামুল হক ( ৮ম প্রজন্ম) প্রমুখের নাম অবিস্মরণীয় ।
ষাটের দশক থেকে যাত্রা শুরু করা প্রাচীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো কৃতি শিক্ষার্থী দেশে- বিদেশে এ কলেজের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তাদের মধ্যে প্রফেসর ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রফেসর ডাঃ সৈয়দ আতিকুল হক, শিশুতোষ গ্রন্থকার ও শিশুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ প্রণব কুমার চৌধুরী, সাহিত্যিক ও লেখক ডাঃ শাহাদুজ্জামান সহ প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
সুনিপুণ স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি সৃজনশীল ও যুগোপযোগী উদ্ভাবনীর জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সুপরিচিত। হাজারো কৃতি সন্তানের পদচারণায় মুখর এই ক্যাম্পাসটি সংস্কৃতি, নেতৃত্ব ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের এক বিশাল ক্ষেত্র।
আর্তের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকবৃন্দ। চমেকের এই সাফল্য অব্যাহত থাকুক নিরন্তর।